সাত রং চা হচ্ছে বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় উষ্ণ পানীয়।[১] চায়ের এই স্বাদ নিতে চা প্রেমীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসেন।[২] শরবত-মিষ্টি স্বাদ থেকে শুরু করে ঝাঁঝালো লবঙ্গ সহ প্রতিটা স্তরের আলাদা আলাদা স্বাদ রয়েছে এবং বর্ণের দিক থেকে রংধনুর মতো বর্ণীল।[৩] সাত রং চা নীলকণ্ঠ টি কেবিনে পাওয়া যায়, একটি বিখ্যাত চায়ের দোকান, যা শ্রীমঙ্গল, সিলেট অবস্থিত।[৪] রমেশ রাম গৌড় হচ্ছেন এই সাত রং চায়ের উদ্ভাবক।
নীলকণ্ঠ টি কেবিনই হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে সাত রং চা পরিবেশন করা হয়। এই চায়ের দোকানে বৈচিত্র্যময় চায়ের বাহার রয়েছে। স্বতন্ত্র পাঁচ রঙের চা ছাড়াও,[৮] ১ থেকে ৭ রঙের চা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। রমেশ রাম গৌড় তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একই কাপে/গ্লাসে আট রং চা প্রস্তুতির কৌশল উদ্ভাবন করেছেন।[৮]
বর্তমানে, নীলকণ্ঠ টি কেবিনের স্বত্বাধিকারী, রমেশ রাম গৌড়ের দুটি দোকান রয়েছে।[৬] একটি শ্রীমঙ্গলের রামনগর মনিপুরী পাড়ায় অবস্থিত (যা নীলকণ্ঠ-১ নামে পরিচিত), এটি সর্বপ্রথম এবং পুরাতন শাখা;[৯] যখন অন্যটা ১৪ রাইফেল ব্যাটালিয়ন সেন্টার, কালীঘাট, শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত; এটা সাধারণত নীলকণ্ঠ-২ নামে পরিচিত।[১০] এটি হচ্ছে নতুন শাখা।[৯] নীলকণ্ঠের এই দোকান সমূহ সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত সেবা দিয়ে যায়।[৯]
বাংলাদেশ উৎসব আমেজের দেশ। সুতরাং কোন ধর্মীয় উৎসব বা ছুটি উপলক্ষে ৭-রং চায়ের নাম এবং খ্যাতির জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকেরা এসে ভিড় জমায়। নীলকণ্ঠে এখনো ক্রেডিট কার্ড সেবা চালু হয়নি, ফলে দর্শনার্থীদের নগদ টাকা সঙ্গে রাখতে হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস